একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন ধরা শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে কর্মী–সমর্থক থেকে নেতা–নেত্রীরা সিঙ্গল ফুল থেকে জোড়াফুলে আসতে শুরু করেছে। তাতে বিজেপি সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে। কারণ এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং এটা ঠেকানো না গেলে সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকবে।
এদিকে গতকাল রাজ্য কমিটির বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি ভোকাল টনিক দিয়ে বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর পর ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তাই এখন থেকে কাজ করে যেতে হবে। এই ভোকাল টনিকের পরও দেগঙ্গায় ভাঙন দেখা দিল। আবার উলুবেড়িয়ায় পঞ্চায়েতের প্রধান–উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সবমিলিয়ে চাপে গেরুয়া শিবির।
অন্যদিকে আজ দেগঙ্গায় বড় ভাঙন ধরল বিরোধী শিবিরে। এবার সিপিআইএম, বিজেপি, কংগ্রেস, আইএসএফ ছেড়ে প্রায় ৫০০ কর্মী সর্মথকদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দেগঙ্গা ব্লকের চাঁপাতলা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন শাসকদলে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং উন্নয়ন দেখে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।’ উপস্থিত ছিলেন সাধন বান্যার্জি, মন্টু সরদার, সেখ মোমিনুল্লা–সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।