ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য সোমবার হাওড়া পুর এলাকার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করল প্রশাসন। পুর এলাকায় ওয়ার্ড সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িতে ৬৬ করার খসড়া তালিকার উপর ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য এই বৈঠক ডেকে ছিল প্রশাসন। কিছু অভিযোগের নিস্পত্তি হলেও বিরোধীদের আরও কিছু অভিযোগ থেকেই গেল। বাম-বিজেপি-কংগ্রেস কার্যত একযোগে অভিযোগ করেছে, যথাযথ আইন মেনে এই আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ হয়নি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর,খসড়া তালিকা নিয়ে প্রশাসনে কাছে মোট ১৮টি আপত্তি জমা পড়ে। এর মধ্যে ৫টি প্রশাসনের কাছে যৌক্তিক মনে হওয়ায় তা নিয়ে পদক্ষেপ করেছে তারা। হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য এই সর্বদলীয় বৈঠক করেন। জেলাশাসকের অফিসেই এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি নেতা সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায় পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ' কীভাবে বালির থেকে ওয়ার্ড বাদ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন তার কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই যথাযথ আইন মেনে এই পুনর্বিন্যাস হয়নি। বেআইনি ভাবে এসব করে কী করে পুরভোটের কথা বলছে প্রসাসন তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছি।' অন্য দিকে সিপিএমের সুমিত্র অধিকারী বলেন, 'হাওড়া পুরসভায় মনোনীত কোনও বোর্ড নেই। তা হলে কী ভাবে এই পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে? ভোটার তালিকা সংশোধন না করে পুর ভোটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে প্রশাসন। আমরা পুরনির্বাচন চাই, কিন্তু তা হোক আইন মেনে।'
এই সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নিলয় ঘোষাল। তিনি বলেন, 'ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস নিয়ে যা আপত্তি ছিল তা সংশোধন করে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। এর পর আর নতুন করে আপত্তি জানিয়ে লাভ নেই। ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত বাকি পদ্ধতি শেষ হলেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।'
এই বৈঠকের পর ওয়ার্ড সংরক্ষণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তার পরই ৬৬ টি ওয়ার্ডের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। আর তার পরই শুরু করা যাবে পুরভোটের প্রস্তুতি।