বন্যায় কারোর ঘরে জল ঢুকেছে। কেউ আবার প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাবছেন জল নামলে ফের বাড়িতে ফিরবেন। কিন্তু এত প্রতিকূলতা সত্বেও দেবী দুর্গাকে আবাহনে কোনও খামতি রাখেনি পটাশপুর, ভগবানপুরের বাসিন্দারা। হাঁটু অবধি জলে নেমেও মায়ের কাছে তাঁদের আর্তি, জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দাও মা।
পুজোর আগে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, ভগবানপুর, ভীমেশ্বরী সহ একাধিক জায়গায়। পুজোর আনন্দ এখানে মাটি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই জলযন্ত্রণার মধ্যেও দুর্গা মণ্ডপে পৌঁছে যেতে ভোলেননি এই এলাকার মানুষরা। তাঁদের সকলেরই প্রার্থনা, এই যন্ত্রণা যেন আর না পোহাতে হয়। পরের বছর যেন হাসিমুখে মা দুর্গাকে বরন করে নিতে পারেন তাঁরা।
তবে আক্ষেপের সুর ভেসে উঠেছে কোনও কোনও বন্যা দুর্গতদের মুখেও। দুর্গতদের মধ্যে একজন জানান, মা দুর্গা এখন কলকাতায় কোটি কোটি টাকার মণ্ডপে পুজো নিতে ব্যস্ত। তিনি এখন ভাসছেন জন সমুদ্রে, জন প্লাবনে। কলকাতা যখন আলোর রোশনাইয়ে মেতেছে, তখন সেখান থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরের মানুষও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও বন্যা দুর্গত মানুষদের বিশ্বাস, বন্যা প্রতিরোধের কথা মা ঠিক শুনেছেন। এর একটা প্রতিকার তিনি করবেন।