নিজের বাড়ির উঠোন বাঁধিয়েছিলেন যুবক। তার জেরে যুবককে উইকেট, ব্যাট, শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের কালনার মন্তেশ্বর এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম জীবনকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তেশ্বরের হোসেনপুরের বাসিন্দা। তার বাড়ির পাশেই থাকেন মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরিবারের অভিযোগ, জীবনকৃষ্ণের বাড়ির উঠোনে বাইক, সাইকেল রাখতেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং তার পরিবারের লোকেরা। সম্প্রতি বাড়ির উঠোন বাঁধিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সেই কারণে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে বাইক বা সাইকেল রাখতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু, তারপরেও তার বাড়িতে ওই তৃণমূল নেতা এবং তার পরিবারের লোকেরা বাইক বা সাইকেল রাখতেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বচসা বাঁধে। তার পরেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তার পরিবারের লোকজন উইকেট, শাবল, ব্যাট প্রভৃতি দিয়ে জীবনকৃষ্ণকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জীবনকৃষ্ণকে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর জীবনকৃষ্ণের পরিবারের সদস্যরা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ পঞ্চায়েত সমিতির সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি যায়। কিন্তু, সেখানে গিয়ে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। পাশাপশি, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।