প্রাথমিক টেট এবং এসএসসিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় গোটা রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি গিয়েছে বহু শিক্ষকের। বাদ যায়নি প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীও। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ খুইয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য তোলপাড় তখনই পাঁশকুড়া পুরসভার বিরুদ্ধে নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ উঠল।
পরীক্ষার আগেই পাঁশকুড়া পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁশকুড়া পুরসভায় সিএমএম এবং ডিইও পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করা হচ্ছে। এই মর্মে পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে লিফলেটে। গত শনিবার পুরসভার বিভিন্ন জায়গায় চাকরি প্রার্থীদের ছবি দিয়ে লিফলেট ছড়ানো হয়েছে। অভিযোগ, সিএমএম পদে প্রয়াস বর এবং ডিইও পদে পুরসভার কর্মরত আইটিও কর্মচারী সৈকত দাসকে নিয়োগ করা হবে। চাকরির জন্য ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নেওয়া হবে বলেও লিফলেটে জানানো হয়। অভিযোগ, কারা চাকরি পাবে তা যখন আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে তাহলে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে হয়রানি করার কোনও মানেই হয় না।
যদিও এ বিষয়ে ওই প্রার্থীদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র। তিনি বলেন, ‘পুরসভা এবং তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই বিজেপির লোকজন এইসব ছড়িয়েছে।’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রতীক পাখিরা। পাল্টা তিনি বলেন, ‘তৃণমূল যে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়ে শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে তা সকলেই জানে। এতে চক্রান্ত করার কিছুই নেই।’