বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Murder in Hemtabad: হেমতাবাদে ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, ক্ষেত থেকে উদ্ধার দেহ

Murder in Hemtabad: হেমতাবাদে ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, ক্ষেত থেকে উদ্ধার দেহ

শোকাহত পরিবারের সদস্যরা। নিজস্ব ছবি

পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে ওসমানের। তাঁদের বক্তব্য, গতকাল রাতে ওসমান আলিকে গ্রেফতার করতে এসেছিল হেমতাবাদ থানার পুলিশ। মৃত ওসমান আলির নামে হেমতাবাদ থানায় একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। তারই ভিত্তিতে ওসমান আলিকে গ্রেফতার করতে আসে পুলিশ। তারপরেই ওসমান আলিকে মারধর করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের পর এবার হেমতাবাদে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, পুলিশই তাঁকে খুন করেছে। পুলিশ তার খোঁজে এসেছিল কিন্তু তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে। ঘটনাটি হেমতাবাদ থানার বিষ্ণুপুর বেলডাঙ্গি গ্রামের। মৃতের নাম ওসমান আলি।

পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে ওসমানের। তাঁদের বক্তব্য, গতকাল রাতে ওসমান আলিকে গ্রেফতার করতে এসেছিল হেমতাবাদ থানার পুলিশ। মৃত ওসমান আলির নামে হেমতাবাদ থানায় একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। তারই ভিত্তিতে ওসমান আলিকে গ্রেফতার করতে আসে পুলিশ। তারপরেই ওসমান আলিকে মারধর করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ সকালে ভুট্টা ক্ষেত থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওসমান পেশায় একজন চাষি। ওসমানের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পারিবারিক বিবাদের অভিযোগ ছিল। তার ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছিল। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওসমানের খোঁজ করতেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পুলিশও তাঁর পিছু ধাওয়া করে। কিন্তু, তাঁকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এরপর থেকেই ওসমান নিখোঁজ ছিলেন। আজ শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ওসমানের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

মৃতের মেয়ে রুবিনা খাতুন জানান, ‘বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। তা দেখে আমার বাবা পালিয়ে যায়। পুলিশ তার পিছু ধাওয়া করে। কিন্তু, পরে পুলিশ ফিরে এসে জানায় তারা আমার বাবাকে ধরতে পারেনি। তারপর থেকে বাবা আর বাড়ি ফেরেনি। দিন রাত নিখোঁজ থাকার পর আজ সকালে বাবার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।’ তাঁর দাবি, ‘কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ আমার বাবাকে ধরতে এসেছিল। আমার বাবার কোনও অসুখ ছিল না। পুলিশই আমার বাবাকে মেরেছে। যখন পিছু করেছিল তখনই পুলিশ আমার বাবাকে ধরে মেরে দিয়েছিল। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি এবং অপরাধীদের শাস্তি চাইছি।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন