ভুল নম্বরে ফোন করে ফেলেছিলেন যুবক। সেই অপরাধের শাস্তি দিতে তৃণমূল কার্যালয় ডেকে যুবককে বেধরক মারধর করলেন দলেরই এক নেতা। আর অপমান সইতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক। ঘটনাটি নদিয়ার নবদ্বীপের চর স্বরূপগঞ্জের সুকান্ত পল্লী এলাকার। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ জানিয়েছে যুবকের পরিবার। মৃত যুবকের নাম অমিত দেবনাথ।
পরিবারের দাবি, গত শনিবার অমিত তার এক বন্ধুকে ফোন করতে গিয়ে ভুলবশত গ্রামের এক মহিলাকে ফোন করে ফেলেছিলেন। বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জীব সমাদ্দার। এই কথা জানতে পেরেই অমিতকে ফোন করে দলীয় কার্যালয়ে ডাকেন তৃণমূল নেতা। অমিত দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছালেই তৃণমূল নেতা তাকে বেধড়ক মারধর করেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার। এরপর সেখানেই থেমে না থেকে পরের দিন রবিবার আবার ওই যুবককে তৃণমূলের কার্যালয়ে ডেকে সঞ্জীব সমাদ্দার মারধর করেন বলে অভিযোগ। তারপরেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। অপমান সইতে না পারে ওই যুবক রবিবার দুপুরে বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন বলে দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুন: পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে মিলল ঝুলন্ত দেহ
যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ভুলবশত মহিলাকে ফোন করে ফেলেছিলেন অমিত। কিন্তু তার জন্য যে এত বড় শাস্তি দেওয়া হবে তা কিছুতেই তারা মেনে নিতে পারছেন না। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ অনেকক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসে। যুবকের আত্মহত্যার জন্য সঞ্জীব সমাদ্দারকেই দায়ী করেছেন পরিবারের সদস্যরা ল। এই অভিযোগে স্থানীয়রা সঞ্জীব সমাদ্দারের বাড়ি ভাঙচুর করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সঞ্জীব সমাধান দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ চালাচ্ছেন। যদিও সঞ্জীবের দাবি তাকে ফাঁসানো হয়েছে
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।নদিয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘তৃণমূলএভাবেই রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এটা তার নমুনা মাত্র।' অন্যদিকে, নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয় বলেই দাবি করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।