পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ উঠেছে দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দু'নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের। প্রাক্তন প্রধান নজিবুর রহমানকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হযরত আলি ও পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সামাউন ইসলামের বিরুদ্ধে।
নজিবুর রহমানের অভিযোগ, রবিবার রাতে বাংরুয়া গ্রামে উরুষ মেলা দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন সামাউনের দলবল এবং হযরত আলির দুই ছেলে তাঁর পথ আটকায় এবং মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে স্থানীয়রা তুলে নিয়ে গিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি মাথা এবং হাতে আঘাত পেয়েছেন।
প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে প্রধানের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ব্লক সভাপতি থাকাকালীন হযরত আলি সেই পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা চাইতে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। এরপর রবিবার তাঁকে মারধর করা হয়। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর দু'নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাবারক হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘দলের মধ্যে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’ এই সুযোগে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। উত্তর মালদা জেলার বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, ‘টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে তৃণমূল। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।’