চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই সামনে আসে। শাসক দলের বহু নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আগেই উঠছে। এবার চাকরি দেওয়ার নাম করে শাসকদলেরই একাধিক নেতা-নেত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতার নাম মফিজুদ্দিন মিঞা। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দলের জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। তারা টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, শিক্ষক সহ বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক বছর আগে অনেকের কাছেই লক্ষাধিক টাকা করে নিয়েছিলেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো কাউকেই তিনি চাকরি দিতে পারেননি। আবার তিনি টাকাও ফেরত দিতে চাইছেন না। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু এখন কারও ফোন ধরতে চাইছেন না বলেই অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে সড়ক হয়েছেন কুশমন্ডি ব্লক তৃণমূল কিষাণ খেত মজদুরের সভাপতি অসরৎ আলি এবং বংশীহারী ব্লক মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা উমা রায়। তাঁদের অভিযোগ, আত্মীয়-স্বজনদের চাকরির জন্য তারা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কারও চাকরি হয়নি এখন ওই সমস্ত তৃণমূল নেতা কর্মীরা চাইছেন তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
আসরৎ আলি বলেন, তিনি আগে সিপিএমে ছিলেন। ২০১৪ সালে তৃণমূলে যোগ দিন। পরে ব্লক কিষাণ খেত মজদুরের সভাপতি করা হয় তাঁকে। সেই সময় আত্মীয় পরিজনদের চাকরির জন্য বেশ কয়েকবার ১১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু মফিজুদ্দিন কাউকে চাকরি দিতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। দলগতভাবে সমস্যা মিটে গেলে ঠিক আছে না হলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের মহিলা নেত্রী তাঁর ভাগ্নির চাকরির জন্য ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু চাকরি হয়নি। এখন টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। তিনি ফোনও ধরতে চাইছেন না বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার জানিয়েছেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ আমাদের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযোগকারী পুলিশের দ্বারস্থ হবেন নাকি আদালতে যাবেন সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, তিনি অভিযোগকারীদের চেনেন না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup