পাত্রীর বয়স ১৪ বছর, আর পাত্র হলেন বাবার বয়সি। সেই পাত্রের সঙ্গেই কি না জোর করে নাবালিকার বিয়ে দিলেন ঠাকুমা। বেড়াতে যাওয়ার নাম করে ওই নাবালিকার সঙ্গে ৪৫ বছরের ওই পাত্রের বিয়ে দেন পরিবারের সদস্যরা। এমনই অভিযোগ তুলে ঠাকুমা, মাসি সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নাবালিকার দিদি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপের ইদ্রাকপুরের মাঝের পাড়া এলাকায়। বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, নাবালিকার দিদি।
আরও পড়ুন: ‘স্যার কিছু করুন...’ চন্দ্রকোনায় বিডিওকে ফোন করে নিজের বিয়ে আটকাল কিশোরী
জানা গিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সি পাত্রের নাম বুদ্ধদেব ঘোষ। তিনি নদিয়ার শান্তিপুরের বেলেডাঙা এলাকার অন্তর্গত বালিয়াডাঙার ওই নাবালিকার সঙ্গে বিয়ে করেন। অভিযোগ, গত ১৬ জানুয়ারি নাবালিকা মেয়েটিকে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন তার ঠাকুমা, দিদা এবং মাসি। এরপর তুলসি তলায় মেয়েটিকে ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন তারা। নাবালিকা মেয়েটি বিয়েতে আপত্তি জানালেও কাজ হয়নি। তার আপত্তি উড়িয়েই জোর করে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌছয় নবদ্বীপ থানার পুলিশ। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
নাবালিকার দিদি জানান, তার ঠাকুমা, দিদা এবং মাসি বলেছিল বাইরে বেড়াতে যাবে। কিন্তু, বাইরে বেড়াতে গিয়ে ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তির সঙ্গে কার্যত ধরে বেঁধে বিয়ে দেওয়া হয় তার। নবলিকার দিদির আরও অভিযোগ, তার বোন সেখান থেকে পালিয়ে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু, তাকে আসতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পরেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তবে তিনি দাবি করেছেন, যে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে অভিযোগ দায়ের হয়। নাবালিকার মেডিক্যাল জন্য পাঠানো হবে।জানা গিয়েছে, নাবালিকার মা আগেই মারা গিয়েছেন। তাই ঠাকুমার কাছেই বড় হয়েছে সে। জানা গিয়েছে, এই বিয়ে ঠিক করেন নাবালিকার ঠাকুমা। তাতে সম্মতি জানান, মাসি ও দিদা। তার দিদিও নবদ্বীপেই থাকেন। নাবালিকা দিদির কাছে চলে আসতে চাইছিল। কিন্তু তাকে আসতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি বোনের অমতে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দিদির আরও অভিযোগ, এরপর তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। নবদ্বীপ থানার পুলিশ নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।