আবারও সালিশি সভার নামে মারধর, তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল। সেই ঘটনাতেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর, মারধর এবং লুটপাট চালানো হয়। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটে সাঁকরাইলের কান্দুয়ায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম শাহাবুদ্দিন সেপাই।
আরও পড়ুন: ফের চোপড়ার মতো ঘটনা! এবার সালিশি সভায় না যাওয়ায় দম্পতিকে মারধর, মমতাকে চিঠি
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহাবুদ্দিন সেপাই কান্দুয়ারই বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মেয়ের বিয়ে দেওয়া নিয়ে শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরেই তার স্ত্রীর ঝামেলা চলছিল। এনিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। তার জেরে কয়েকদিন আগেই শাহাবুদ্দনের স্ত্রী রাগে অভিমানে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সঙ্গে নিয়ে যান মেয়েকে। এবার সেই কথা জানাজানি হতেই বিষয়টি মীমাংসা করতে এগিয়ে আসেন পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদ। তাঁর নেতৃত্বে গতকাল সন্ধ্যায় শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়।
অভিযোগ, এরপর গতকাল উপপ্রধানের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি মারধর করে। পরে উপপ্রধানের ডাকে আরও ১৫০ জন বাইক ও ম্যাটাডোরে করে শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আসে। তারা লাঠি, রড, ছুরি প্রভৃতি নিয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে চড়াও হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে দেখে কোনওভাবে সেখান থেকে পালিয়ে যান শাহাবুদ্দিন। এদিকে পঞ্চায়েত প্রধানও সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই অবস্থিত শাহাবুদ্দিনের ভাইপোর বাড়ি। সেখানেই শাহাবুদ্দিন লুকিয়ে আছেন সন্দেহে হামলা চালায় উপপ্রধানের দলবল। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি সোনা, গয়না, নগদ টাকা নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, খলিল আহমেদ একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত।