স্নান করতে গিয়ে এক না বালিকাকে পাট খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! এমনই অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে। গত শনিবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে ঘটনার পাঁচদিন হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও অধরা অভিযুক্ত।এমন ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এমন ঘটনায় অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে ওই নাবালিকা। তার চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: 'কিশোরীর অন্তর্বাস খুলে তাকে নগ্ন করা…ধর্ষণের চেষ্টা নয়,' জানাল হাইকোর্ট
পারিবারিক সূত্রের জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাড়ির কিছুটা দূরেই অবস্থিত কানখোলা নদী। সেখানেই পাড়ার কচিকাঁচাদের সঙ্গে প্রায়ই স্নান করতে যায় ওই নাবালিকা। শনিবার দুপুরেও সেরকমই নদীতে তারা স্নান করতে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় ওই তৃণমূল কর্মী কোনও কিছুর লোভ দেখিয়ে তাকে পাশের একটি পাট খেতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় তৃণমূল কর্মী। এদিকে, ঘটনার পর কোনওভাবে বাড়ি পৌঁছয় নির্যাতিতা নাবালিকা। তবে বাড়ি যাওয়ার পরেই সে শুয়ে পড়ে। তখনও অবধি পরিবারে সদস্যরা কিছু বুঝতে পারেননি। কিন্তু, রাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করতে শুরু করে। এরপর বেশ কয়েকবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবশেষে আসল ঘটনা জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাতেই তাকে মশালদহ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।
এদিকে, নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হওয়ায় তাকে চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে ওই নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, তাদের দাবি, অভিযুক্ত একজন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করছে না।যদিও এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী।
তার বক্তব্য, তার স্বামী কী করেছে তিনি জানেন না। তবে শুনেছেন তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখন তার স্বামী বাড়িতে নেই। পুলিশ বাড়িতে এসে স্বামীকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলেছে। অন্যদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ তুলছেন এর আগেও ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ উঠেছিল। তবে সে একজন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলতে পারেনি।