চরম নৃশংসতা। মা সহ ৬ শাবককে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরের তিলক রোডের একটি ডাস্টবিনে। ঘটনায় মা সহ ৫ শাবককে অর্ধ দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও এক শাবককে বাঁচানো যায়নি। অর্ধদগ্ধ মা এবং শাবকদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এমন নৃশংসতার ঘটনায় সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা। তারা ইতিমধ্যেই থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: পথ কুকুরের জন্য দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর জন্য, দাবি রিপোর্টে!
জানা গিয়েছে, তিলক রোডের ৩০ নম্বর স্ট্রিটের একটি গ্যারেজের পাশে একটি ডাস্টবিন রয়েছে। সেখানেই ৬ শাবক জন্ম নিয়েছিল। এলাকাবাসীদের অনেকেই কুকুরছানাগুলিকে খাওয়াতেন। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা হঠাৎ করে ডাস্টবিন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। সেইসঙ্গে কুকুরের চিৎকার শুনতে পান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান তাদের গায়ে আগুন জ্বলছে। তখন তাদের প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে আসন স্থানীয়রা। কোনওভাবে আগুন নিভিয়ে তাদের একে একে উদ্ধার করা হয়। তবে একটি শাবকের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রাই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। পরে সেগুলিকে পশু চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া শাবক এবং মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ডাস্টবিনে বই, খাতা রেখে আগুন ধরানো হয়েছিল যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই সঙ্গে যাতে গন্ধ না ছড়ায় তার জন্য নুনের প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে মা এবং শাবকদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল। স্থানীয়দের একজন জানান, আগুনে সারমেয়দের ছটফট করতে দেখে কোনওভাবে তাদের উদ্ধার করতে পেরেছেন। তবে এক শাবককে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঘটনায় পশুপ্রেমী সংস্থার তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তা জানতে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা। সংগঠনের বক্তব্য, সদ্যোজাত পথ সারমেয়দের উপর এই ধরনের নির্মম ঘটনা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি হওয়া উচিত।