এক বছরে পুরসভার অটো ভাড়া হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়, পুরসভার গাড়ি মেরামত এবং তেলের খরচ বাবদ বছরে বিল হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। এমন অবস্থায় অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে একটি পুরসভার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সরকারি অফিসের সময় ৮ ঘণ্টা হলেও অফিসের প্রয়োজনে ওই অটোগুলি প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা চলছে বলে খাতায়-কলমে দাবি করা হয়েছে। এমনকী ছুটির দিনে অফিস বন্ধ থাকলেও দেখানো হয়েছে অটোগুলি কাজের জন্য রাস্তায় চলছে। এই অবস্থায় পুরসভার অটো ভাড়া বাবদ এক বছরে বিল হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা। এই ‘ভুতুড়ে বিল’ দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের। যদিও পুরস্কার তরফে দাবি করা হয়েছে যে খরচ কমানোর জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'মুসলিমদের থেকে বড় মুসলিম হওয়ার চেষ্টায় হিন্দুদের বলি দিচ্ছেন মমতা')
আরও পড়ুন: অপরাধ র্যাপিডো বাইক বুক! মেজাজ হারিয়ে যাত্রীকে হুমকি অটো চালকদের
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় অধীনে ২০টি অটো ভাড়ায় চলে। এখানে এক ঘণ্টা পিছু প্রতিটি অটোকে ১০০ টাকা করে ভাড়া দেওয়া হয়। এই অটোর মাধ্যমে বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় যান। যদিও অভিযোগ উঠেছে, পুরসভার কাজ শুরু হয় দুপুর থেকে। তারপরেও সারাদিনে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা অটো চলছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। এবারের বাজেটেও এই খাতে ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, গাড়ি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ, আইন অনুযায়ী, অনেক পুরকর্মীর গাড়ি পাওয়ার কথা না থাকলেও তাঁরা গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন। তাছাড়া, আধিকারিকদের গাড়ির তেলের খরচে লাগাম নেই বলেও অভিযোগ।সূত্রের খবর, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পুরসভার ডিজেল বাবদ ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা, পেট্রল বাবদ ৮৭ লক্ষ, মোবিল বাবদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও, ২০২৪ -২৫ অর্থবর্ষে সেই খরচ প্রায় কাছাকাছি ছিল। চলতি অর্থবর্ষে এই সবমিলিয়ে ৩ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। আবার গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও খরচ ৩ কোটির কাছাকাছি ছিল। (আরও পড়ুন: 'বিএসএফ টাকা দিয়ে ইট ছুড়িয়েছে', মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়েও বিস্ফোরক মমতা)
ফলে স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে প্রশ্ন। এনিয়ে পুরসভার এক আধিকারিক উষ্মা প্রকাশ করেছেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত এবিষয়ে বলেছেন, পুরসভার মোট ৩০৩ টি গাড়ি রয়েছে। ১৪-১৫ বছরের পুরনো গাড়ির খরচ বেশি। ওইসব গাড়ি বিক্রি করে নতুন গাড়ি কেনার পাশাপাশি প্রতিদিন ন’ঘণ্টা করে অটো চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।