বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও অসুস্থ হয়েছেন ৪ প্রসূতি। ঘটনায় তীব্র বিতর্ক শুরু হতেই ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ সংস্থার ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেক’ স্যালাইন নিষিদ্ধ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এর পাশাপাশি ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারপরেও টনক নড়েনি। সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে একটি গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। নদিয়ার পলাশীপাড়ার প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।একইসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি। এই স্যালাইন ব্যবহার করার জন্য চিকিৎসককেই দায়ী করেছেন কর্তব্যরত নার্স।
আরও পড়ুন: স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যালে কর্মবিরতির জুনিয়রদের, সুপারকে ঘেরাও
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে রবিবার। চিকিৎসার জন্য ওই স্বাস্থ্য গিয়েছিলেন গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমা খাতুন। তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় তাকে নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়া হয়। এ নিয়ে রোগীর আত্মীয় পরিজনরা প্রশ্ন তুললে নার্স স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন চিকিৎসকের নির্দেশেই তিনি এই স্যালাইন দিয়েছেন রোগীকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। পরে এ বিষয়ে জানতে তারা চিকিৎসকের কাছে যান। তবে চিকিৎসক সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন বলে দাবি পরিবারের। তাদের বক্তব্য, এত কিছুর পরেও কেন নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে? রোগের কিছু হয়ে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে?
বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। এই বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, আগেই এই স্যালাইন বন্ধের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সব হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যদি এই ধরনের স্যালাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা খতিয়ে দেখা হবে। জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই স্যালাইন ব্যবহার এখন নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর সব হাসপাতালকে বিকল্প স্যালাইন সরবরাহ করেছে। তারপরেও এমনটা হওয়া ঠিক নয়। বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান।