পশ্চিম মেদিনীপুরের রামনগরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ বিক্ষোভ করল বিজেপি। এমনকী পুলিশের উপরেও তারা চড়াও হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে, বিজেপির অবরোধের খবর শুনে পালটা বলিসাইয়ে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। কয়েক ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের বিক্ষোভ অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট ছড়ায় বালিসাই এবং রামনগরে।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাইক থেকে ফেলে শুভেন্দুকে মারধর, কাঠগড়ায় ঘাসফুল, ‘এসব নাটক’ দাবি TMC-র
কী ঘটেছিল ?
রবিবার বিকেলে রামনগরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির বহু কর্মী সমর্থক। সভা শেষে কর্মী সমর্থকরা বাড়ি ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, বালিসাইয়ে বিজেপির উপর হামলা হামলা চালানো হয়। সেখানে দলের কর্মী সমর্থকদের মারধর করা পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদে রামনগর বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ঘন্টাখানেক পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা- কর্মী ও সমর্থকেরা।
বিজেপির অভিযোগ, শুভেন্দুর সভা শেষে বলিসাই বাজার সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। বিজেপি সমর্থকদের টোটো ও অটোতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সেই সমস্ত বিজেপি কর্মীকে বালিসাই হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তারই প্রতিবাদে রামনগরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। তারা পথ অবরোধ তুলতে গেলে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে রামনগর থানার পুলিশের বচসা বেঁধে যায়। ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে। এরফলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা।
অন্যদিকে, বিজেপির বিক্ষোভের খবর পেয়ে বালিসাইয়ে বিক্ষোভ অবরোধ করে তৃণমূল। দুপক্ষের অবরোধ বিক্ষোভের জেরে দীঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেয় দুপক্ষ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।