রোগীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদা ব্লকের মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বিষয়টি বুঝতে পেরেই জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন এক রোগী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: প্যান ডি থেকে শেলকাল, প্রকাশিত নিম্নমানের ওষুধের পূর্ণাঙ্গ তালিকা, দেখুন একনজরে
জানা গিয়েছে, বসুদেব ঘোষ নামে এক রোগী মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বসুদেব ঘোষ মালদার মঙ্গলবাড়ী এলাকার সারদা কলোনির বাসিন্দা। জানা যায়, দিন কয়েক আগেই বাড়িতে পোষা গরুর আক্রমণে তিনি আহত হয়েছিলেন। তার বাম পায়ে আঘাত লাগে। ঘটনায় চিকিৎসার জন্য তিনি সোমবার স্থানীয় মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাকে ওষুধ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি দেখেন যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে সেটি মেয়াদ উত্তীর্ণ। বিষয়টি দেখার পরেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য কেন্দ্র যান। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করেন বিষয়টি। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তাতে গুরুত্ব দিতে চায়নি বলেই অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত তিনি জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান।
বসুদেব ঘোষ বলেন, ‘ওষুধ খাওয়ার পরে আমার পায়ের আঘাত ভালো হয়নি, উল্টে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তারপরে আমি জেলা শাসককে চিঠি লিখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছি।’সরকারি হাসপতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, ‘তৃণমূল সরকার সবকিছুতে দুর্নীতি করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য কোনও কিছু বাদ যায়নি। আজকে একজন সাধারণ মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলে তাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সেটা খেয়ে কেউ মরল না বাঁচল তার দায় কেউ নিচ্ছে না। এটা করে রাজ্যকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূল।’ পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করে শাসক দলের দাবি, এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।