আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা রাজ্য। সেই আবহে এক ছাত্রীকে কোচিং ক্লাসের মধ্যেই যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরে। ওই ছাত্রী একজন কিশোরী। তার কাছ থেকে বিষয়টি জানার পরেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ কিশোরীর বাবা-মা। তার ভিত্তিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে, গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সেনাকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, ধৃত TMC উপ প্রধানের ছেলে
জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়ছিল ওই ছাত্রী। নির্যাতিতা ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অনেকেই ওই শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়ে থাকে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য শনিবার শিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল ছাত্রী। কিন্তু, ক্লাস শেষ হওয়ার পরেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় ছাত্রীটি। অভিযোগ, কোচিং ক্লাস শেষ হওয়ার পরেও তাকে বসিয়ে রাখে শিক্ষক। এরপর একে একে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি চলে যাওয়ার পরেই তাকে একা পেয়ে শিক্ষক যৌন হেনস্থা করে।
শিক্ষকের এরকম কাণ্ডে ছাত্রী রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে এসে বাড়িতে পৌঁছয়। এরপরে বাবা মায়ের কাছে শিক্ষকের কুকীর্তির কথা জানায় ছাত্রীটি। বিষয়টি জানতে পেরেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কিশোরীর পরিবার। রবিবার তারা বারুইপুর থানায় গিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। রবিবার রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য জানান, ওই শিক্ষক ক্লাস শেষ হওয়ার পরেই যৌন নির্যাতন করেছে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। যদিও শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ প্রথম নয়, এর আগেও তিনি এই ধরনের কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। তিনি জানান, একসময় শিক্ষকের কাছে পড়ত তার মেয়ে। তবে শিক্ষকের খারাপ ব্যবহারের কথা তিনি জানতে পেরেছিলেন। এমনকী তার ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত। এছাড়াও, অভিযুক্ত অনেককে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আজ ধৃতকে আদালতে তোলার কথা।