অনৈতিকভাবে রোগীদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হাসপাতালে বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে গিয়েই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল হাসপাতালে। সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি কিল, চড়, ঘুষি মারার অভিযোগ উঠল আয়াদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে সুপারকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরেই আয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদি কংগ্রেস সুপারকে দায়ী করেছেন ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। আক্রান্ত সুপারের নাম পরিতোষ মণ্ডল।
আরও পড়ুন: ফের আক্রান্ত চিকিত্সক, প্রসূতির মৃত্যুতে পুলিশের সামনেই বেধড়ক মারধর
কী ঘটেছিল?
জানা যাচ্ছে, অনেকদিন ধরেই রোগী পরিবারের কাছ থেকে আয়াদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছিলেন হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মণ্ডল। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে বহু রোগী পরিজন এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি আয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ ওয়ার্ডে ঢোকেন। এরপর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন আয়ারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। এর পরে সুপারের উপর আয়ারা চড়াও হন। সুপারকে তারা এলোপাতাড়ি কিল, চড়, ঘুষি মারতে শুরু করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আয়াদের হাত থেকে সুপারকে উদ্ধার করে। রাত ২ টো পর্যন্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। পরে আয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন হাসপাতাল সুপার।
পড়ুন: চিকিৎসককে রাস্তায় ফেলে পেটাল পুলিশ, ভিডিয়ো দেখে স্তম্ভিত সোশ্যাল মিডিয়া
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ওই সমস্ত আয়াদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে সবমিলিয়ে ২৫০ জন আয়া রয়েছেন। কিন্তু, তাদের নানা দাবির ফলে বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়তে হয় রোগী-পরিজনদের। বিশেষ করে দরিদ্র রোগীর পরিবাররা আয়াদের টাকার দাবির ফলে চরম সমস্যায় পড়েন। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, আয়াদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও পালটা হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, হাসপাতাল সুপার মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনিই আয়াদের ধাক্কাধাক্কি করে বের করে দিচ্ছিলেন। এই অবস্থায় হাসপাতাল সুপারের অপসারণের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।