ভোটের পর হিংসা থামার কোনও নাম নেই। লোকসভা নির্বাচন মিটতেই জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। কোথাও বোমাবাজি, মারধর, হুমকি আবার কোথাও গুলি চালানো বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধীরা। ঠিক সেই আবহে এবার ভাঙড়ে এক আইএসএফ নেতার বাড়িতে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। শুধু মারধরই করা হল না আইএসএফ করার জন্য ওই নেতার স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দেওয়া হল। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের রানীগাছি এলাকায়।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, ISF-TMC’র সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়, আক্রান্ত ২ তৃণমূল কর্মী
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আক্রান্ত মহিলা আইএসএফের বুথ সভাপতির স্ত্রী। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শাসক দলের পাঁচ জন দুষ্কৃতী আইএসএফ নেতার বাড়িতে ঢুকে প্রথমে নেতার স্ত্রীকে মারধর করে। এরপর হাঁসুয়া দিয়ে তাঁর মাথার চুল কেটে নেয় দুষ্কৃতীরা। মারধর করার ফলে অচেতন হয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে যান তিনি। এরপর দুষ্কৃতীরা ওই মহিলাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় মানুষজন ও পরিবারের লোকজনের চেষ্টায় মহিলার জ্ঞান ফেরে। খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনায় ছড়ায়।
মহিলা জানান, দুষ্কৃতীদের পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন ঘরে ঢুকে তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মারধর করে। তারা মুখে মুখোশ পরেছিল। ফলে তিন জনকে তিনি চিনতে পারেননি। বাকি দুজন বাইরে অপেক্ষা করছিল। এর মধ্যে একজনের নাম মিঠুন এবং অপরজন হল লাল্টু। তারা তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি মহিলার। মহিলা বলেন, ‘আমাকে ওরা বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করছিল। আর মিঠুন ও লাল্টু আমাকে মেরে ফেলতে বলছিল। একজন হাঁসুয়া নিয়ে আমার মাথায় আঘাত করতে যায় তখন আমার মাথার চুল কেটে যায়। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’
মহিলা জানান, তাঁর স্বামী আইএসএফ করেন। এর পাশাপাশি গতকাল ভাঙরে বোমা উদ্ধার নিয়ে মুখ খোলার কারণেই তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য সাদ্দাম ঘরামি বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। সেটাই ওরা তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’