বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে ভয়ঙ্কর পরিণত হল যুবকের। সারা গায়ে পেরেক ফুটিয়ে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, যুবকের দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হল গাছে। এমনই হাড়হিম ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মুরারিপুর বণিকপাড়ায়। ঘটনায় স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই অভিযোগের পরেই যুবকের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: হাড় মাংস আলাদা, বাংলাদেশের এমপির দেহাংশের খোঁজে নামল ডুবুরি, উড়ছে ড্রোন
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি ডোমকলের উত্তর গরিবপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি মুরারিপুরে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বছরতিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই তাদের বিয়ে হয়। সম্প্রতি তাদের এক কন্যাসন্তানও হয়েছে। তার বয়স ১১ মাস। তবে এরই মধ্যে স্ত্রী ও শাশুড়ির সন্দেহ হয় যে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকত।
সমস্যার সমাধানে কিছুদিন আগে গ্রামে একটি সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ঠিক হয়, আপাতত স্ত্রী বাবারবাড়িতে চলে যাবে। সমস্যার মীমাংসা হলে তবে তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফিরবে। সেই মতোই বেশ কয়েকদিন আগে বাবারবাড়ি চলে গিয়েছিল মৌসুমী। তবে তার ক্ষোভ কমেনি।
জানা যায়, এরপর বুধবার রাতে ওই ব্যক্তিকে ফোন তার শ্বশুরবাড়িতে ডাকা হয়। সেইমতোই শ্বশুর বাড়ি চলে যান। এর পরের দিন তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পারিবারিক সূত্রের খবর, ওই শ্বশুর বাড়ির কাছে একটি কাঁঠাল গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, সারা শরীরে পেরেকের আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁদের অভিযোগ, সারা শরীরে পেরেক ফুটিয়ে প্রথমে অত্যাচার করা হয়েছে। তারপরে তাঁকে খুন করা হয়েছে।