লোকসভা নির্বাচনের লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিজেপি কর্মীদের রেশন। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কিছুদিন আগেই। অবশেষে সেই ঘটনায় বঞ্চিত বিজেপি কর্মীরা মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হওয়ায় সমস্যার সমাধান হল। মহকুমা শাসকের নির্দেশে বঞ্চিতদের বাড়িতে গিয়ে রেশনের সামগ্রী তুলে দিলেন ডিলার। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ মহকুমার গৌরহাটি ১ নম্বর অঞ্চলের খালড় গ্রামে।
আরও পড়ুন: রেশনে দেওয়া হল মেয়াদ উত্তীর্ণ আটা, প্যাকেট খুলতেই কিলবিল করতে লাগল সাদা পোকা
বিজেপির ধীরেন ধর, পলাশ ঘোষ, রেণুপদ ধর প্রভৃতি কর্মীরা অভিযোগ তোলেন যে ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরেই তৃণমূল নেতারা সেখানে দাদাগিরি চালাচ্ছেন। বিজেপি করার জন্য তাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে।কিছুদিন আগেই তাদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডাকা হয়। কিন্তু, সেখানে না যাওয়ায় সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২২ জন বিজেপি কর্মীর রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে তাদের রেশন দেওয়া হয়। কিন্তু, ওই ৩ কর্মীকে রেশন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। রেশন দোকানে গেলেও তাদের রেশন দেওয়া হচ্ছিল না। তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তাদের যাতে কোনওভাবেই রেশন না দেওয়া হয় ডিলারকেও তা নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মীদের গ্রাম ছাড়া করার হুমকি পর্যন্ত দেয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, এই ঘটনার পরে বিজেপি কর্মীরা আরামবাগ মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমন অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন মহকুমা শাসক।বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা নেন তিনি। আরামবাগের মহকুমা শাসক বঞ্চিত ব্যক্তিদের বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেই রেশন ডিলার তাদের বাড়িতে গিয়ে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেন।
গৌরহাটি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোৎস্না খাতুনও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখনও তিনি এ বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ পাননি। তবে তিনি বিষয়টি সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখবেন। তারপরে পদক্ষেপ করা হবে। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে। এই প্রকল্প সকলের জন্য। কাউকে এভাবে বঞ্চিত করা যায় না। প্রসঙ্গত, ভোটের ফল প্রকাশের পরেই আরও একাধিক জায়গায় বিজেপি করার জন্য বহু মানুষকে সরকারি সুবোধ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই তালিকায় এবার জুড়ল আরামবাগ।