তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারমাইকেল হস্টেল। একদল বহিরাগত এবং প্রাক্তনী তথ্যচিত্রের আয়োজকদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই আবাসিকদের একাংশ প্রাক্তনী এবং বহিরাগতদের বিরুদ্ধে জোর করে হস্টেল দখল করে থাকার অভিযোগ তুলেছেন। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগও তুলেছেন।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার আক্রান্ত প্রথম বর্ষের ছাত্র, উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ
জানা গিয়েছে, কারমাইকেল হস্টেলে আনন্দ পট্টবর্ধনের তৈরি তথ্যচিত্র ‘রাম কে নাম’ দেখানোর আয়োজন করেছিল আবাসিকদের একাংশ। সে তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে আপত্তি জানায় আরেক অংশ। তার জেরে দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাঁধে। তারপরেই বেআইনিভাবে বহিরাগত এবং প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে হস্টেল দখল করার অভিযোগ তুলেছেন আবাসিকদের একাংশ। তাদের পক্ষে মাসুম মিয়া নামে একজন একাধিক দাবি পেশ করেছেন। তার অভিযোগ, অবিলম্বে বহিরাগত এবং প্রাক্তনীদের হস্টেল থেকে বের করে দিতে হবে। তাদের আরও দাবি, প্রাক্তনী এবং বহিরাগত আবাসিকরা সেখানে থ্রেট কালচার চালাচ্ছে। হস্টেলে লাগাতার সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।
আবাসিকদের আরও অভিযোগ, এর আগেও তাদের তরফে বহিরাগত আবাসিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি মার ধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন আবাসিকরা। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের একাংশ বেআইনি আবাসিকদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনায় আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে’র সঙ্গে হস্টেলের আবাসিকদের একটি প্রতিনিধি দলের দেখা করার কথা রয়েছে। যদিও এই বিষয়ে শান্তা দত্ত দে জানান, এই ঘটনার পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হস্টেলে বাড়তি নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কারমাইকেলে বহিরাগতদের আনাগোনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি কুটা। তাদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় রয়েছে। অবিলম্বে এ বিষয়ে তাদের পদক্ষেপ করা উচিত।