জেলায় জেলায় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে প্রকৃত উপভোক্তাদের আবাসের টাকা পাচ্ছেন না। আবার পাকা বাড়ি ও প্রচুর সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আবাসের টাকা পাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। এনিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা রাজ্য। সেই আবহে এবার আউশগ্রাম ১ ব্লকের দিগনগর ২ পঞ্চায়েতেও আবাসের অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর। যদিও প্রধান সবিতা মাহাতো তাঁর স্বামী পরশুরাম মাহাতোর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখেছেন। একইভাবে ওই পঞ্চায়েতেরই এক তৃণমূল ছাত্রনেতার নাম জড়িয়েছে। এই অবস্থায় আবাসের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: আবাসের টাকা হাতে পেতেই স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন ৪ গৃহবধূ
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র নেতার নাম হল তন্ময় গোস্বামী। তিনি আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবং দিগনগর ২ পঞ্চায়েতের গোপীনাথবাটীর বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর বাবার। তবে তিনিও প্রধানের মতোই একইভাবে বিডিওকে চিঠি দিয়ে তালিকা থেকে বাবার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তৃণমূল নেতা জানান, বর্তমানে তিনি ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে কাজ করছেন। নিজেই পাকা বাড়ি তৈরি করছেন। তাই আর আবাসের টাকা প্রয়োজন নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আবাসের টাকা পাওয়ার যোগ্য নন তিনি। তাই তালিকা থেকে তাঁর বাবা প্রভাত গোস্বামীর নাম বাদ দেওয়ার জন্য তিনি বিডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর বাবা একটি কীটনানাটক সংস্থায় কাজ করেন। যখন সমীক্ষা হয়েছিল সেই সময় তাঁদের পাকা বাড়ি ছিল না। সেই কারণে সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের নাম লিখেছিলেন।
তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, বিডিও (আউশগ্রাম ১) শেখ কামরুল ইসলাম। এ বিষয়ে বিডিও জানান, যে ২০১৮ সালে সমীক্ষা হয়েছিল। সেটা আজ থেকে ৬ বছর আগে। সেই সময় অনেকের পাকা বাড়ি ছিল না। হতে পারে সেই সময় এই ব্যক্তিরা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। তবে এই দীর্ঘ সময় তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ফলে আর্থিক সামর্থ্য থাকার পরে এভাবে নাম চলে এসেছে। তিনি জানান, সবকিছু খতিয়ে দেখার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।ডিওয়াইএফআই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, কীভাবে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের নাম কী ভাবে তালিকায় এসেছিল তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। প্রকৃত গরিব মানুষের নাম বাদ যাচ্ছে।