বুধবার বিজেপির বাংলা বনধ ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি খবর পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ থেকে শুরু করে জায়গায় জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বচসা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বনধ ঘিরে নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকাতেও অশান্তি দেখা গিয়েছে। বিজেপির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী এলাকার বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় যেতেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাঁদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। শিখা দেবীকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: প্রোটোকল শেখাবেন না- বনধের মধ্যে পুলিশকে কড়া বার্তা ট্রেন চালকের
বনধকে ঘিরে এদিন শিলিগুড়ি শহরে দফায় দফায় অশান্তি ছবি ধরা পড়েছে। সকাল থেকেই শহরে ১২ ঘণ্টার বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করে। পথে নেমে বিক্ষোভ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বনধের সমর্থনে এদিন পথে নামেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় প্রমুখ। বনধ সফল করতে শিলিগুড়ি শহরে দফায় দফায় মিছিল, পিকেটিং করে বিজেপি। তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এদিন বনধের জেরে সকাল থেকেই শিলিগুড়ি শহরে যানবাহন রাস্তায় কম ছিল। তাছাড়া, বেশিরভাগ দোকান-বাজার বন্ধ ছিল।
অন্যদিকে, বনধকে ব্যর্থ করতে শিলিগুড়ি শহরে পালটা মিছিল করে তৃণমূল। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও পথে নামেন। এদিকে, কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। বিজেপির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মিছিলের সামনাসামনি চলে আসে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মিছিল। এরপরেই দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। শিখা দেবীকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তাদের অভিযোগ, লাঠি সোঠা, ঢিল ছুঁড়ে হামলা চালানো হয়েছে। অন্যান্য কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি শিখা চট্টোপাধ্যায়ও আহত হয়েছেন। কোনওভাবে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
অপরদিকে, নিউ জলপাইগুড়ি এলাকাতেই বনধের সমর্থনে এসেছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। অভিযোগ, সেই সময় সাংসদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তাঁকে হেনস্থা করা হয়, ছোড়া হয় ঢিল। পুলিশ সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। একদিকে, বিজেপির বিধায়কের ওপর হামলা, অপরদিকে বিজেপির সাংসদের উপর হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।