তৃণমূল নেতার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দাবি করা হচ্ছে, অভিযুক্ত যুবক বিজেপির একজন প্রভাবশালী নেতা। এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।যদিও বিজেপি তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার মুরুটিয়া থানা এলাকায়। তৃণমূল নেতার পরিবারের অভিযোগ, তাদের প্রতিবেশী ওই যুবক বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন: কাজের টোপ দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, TMC-র প্রভাবশালী নেতার নামে অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার বাবা আগে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। এখনও তিনি এলাকার তৃণমূল নেতা হিসাবে সক্রিয়ভাবে দলের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সময় তাদের মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে একাই বাড়িতে ছিলেন। সেই সুযোগে ওই প্রতিবেশী যুবক বাড়িতে ঢুকে তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি ফেরার পর তারা ধর্ষণের বিষয়টি মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন। এর পরেই থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের দাবি, নির্যাতিতা জন্ম থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। এরকম একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠতেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা করেছে। তবে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই যুবক পলাতক রয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি, দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।
এ বিষয়ে তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার জানিয়েছেন, ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া মাত্রই নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তার খোঁজ করা হচ্ছে। এদিকে, অভিযুক্ত যুবক যে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত সে কথা কার্যত অস্বীকার করেছে দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, ওই যুবকের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। অপরাধ করলে অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।