ফের খবরে সন্দেশখালি। এবার তৃণমূলের এক মহিলা কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, তৃণমূল করার জন্য এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব তাকে এভাবে মারধর করেছে। বিজেপির নেত্রী সহ বেশ কয়েকজনের নামে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা। আহত অবস্থায় মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আপাতত তার অবস্থায় স্থিতিশীল। তবে পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি কবে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী? শাসকদলের নেতাদের মধ্যে শুরু জোর প্রস্তুতি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা সন্দেশখালির খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। ১৮৪ নম্বর বুথে এই ঘটনা ঘটে।আক্রান্ত মহিলার নাম দিপালী মণ্ডল। অভিযোগ, তৃণমূল করার জন্য এর আগেও একাধিবার বিজেপির কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন দিপালী। এর পর আজ রবিবার বিজেপি নেত্রীর নির্দেশে দলের কর্মীরা তাঁকে বাঁশ, লাঠি, শাবল দিয়ে মারধর করে। পাশাপাশি কিল, ঘুষি, চড় মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ বিষয়ে দিপালী মণ্ডল সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত করছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। কী কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি পুলিশ।
মহিলা বিজেপির অর্পণা মণ্ডল, জনক মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মারধরে অভিযোগ তুলেছেন। মহিলার কথায়,‘আমরা তৃণমূল করি। তাই কেন তৃণমূল করছি সেই প্রশ্ন তুলে আমাকে মারধর করা হয়েছে।’ আহত অবস্থায় প্রথমে মহিলাকে সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা হাসপাতালে।
এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই সন্দেশখালিতে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। তারা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তারা যেহেতু একই পাড়ায় থাকে তাই কোনও একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তার জেরে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছে। এখন তৃণমূল এই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র নেই। চক্রান্ত করে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এলাকার তৃণমূল কর্মীদের দাবি, পরিকল্পিতভাবেই বিজেপি দীপালির উপর হামলা চালিয়েছে। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।