কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না ছেলেধরা গুজব। বারাসত, খড়দার পর এবার বনগাঁয় ছেলেধরা সন্দেহে এক ভবঘুরেকে বেধরক গণপ্রহার করার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ভবঘুরেকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। মারধরের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ছেলেধরা গুজব রুখতে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। অথচ উত্তর ২৪ পরগনাতেই গত কয়েকদিন ধরে বারবার এই ঘটনা ঘটছে। যার ফলে গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন নিরীহ মানুষজন।
আরও পড়ুন: আবারও ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি, আশঙ্কাজনক যুবক, থানার সামনে বিক্ষোভ পরিবারের
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরপল্লী এলাকায়। শনিবার রাতে সেখানে রাস্তায় এক ভবঘুরে যুবককে ঘুরতে দেখেন স্থানীয়রা। তাতে ওই যুবককে দেখে ছেলেধরা বলে সন্দেহ করেন এলাকার কয়েকজন। দাবানলের মতো এলাকায় সেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হয়ে যুবককে মারধর করতে শুরু করে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। তারা যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, আক্রান্ত যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, এই ঘটনার পরে সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইম বাংলা) ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে যুবককে মাটিতে ফেলে কীভাবে মারধর করা হচ্ছে।এ বিষয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য, তারা রাতে একজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখেছিলেন। তাই ছেলে ধরা সন্দেহ তাকে মারধর করা হয়। বনগাঁ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বন্দনা দাস কীর্তনিয়া জানিয়েছেন মারধরে একজন অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় । এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি বলে তিনি জানান। একইসঙ্গে, তিনি গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান। তাঁর অনুরোধ, এভাবে যেন কেউ আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেয়।
ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে উত্তর ২৪ পরগনাতে বারবার এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে। একইসঙ্গে, পুলিশের ব্যর্থতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, এর আগে বারাসতে ছেলেধরা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বারাসতে। তার কয়েকদিন পরেই শুক্রবার খড়দায় একইভাবে ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে মারধর করা হয়। আর এবার বনগাঁ।