আদিবাসী গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ করেন যুবকের পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি থানাতেও তারা অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানা এলাকায়।
আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বিবাদ, মেটাতে গিয়ে আক্রান্ত ৭ পুলিশকর্মী, ঝরল রক্ত
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম পাঁচু হালদার (২৭)। তিনি পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক। গঙ্গারামপুর থানা এলাকারই বাসিন্দা ওই যুবক। অন্যদিকে, ওই গৃহবধূও গঙ্গারামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গৃহবধূর সঙ্গে অনেকদিন ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল পাঁচুর। সেই ক্ষোভে মহিলার পরিবারের লোকজন ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। খুনের অভিযোগে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যুবকের পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। পরে পুলিশ সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ পাঁচুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, আজ ময়নাতদন্ত শেষে যুবকের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। তারপরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। যুবকের পরিবারের সদস্যরা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বিক্ষোভ করেন। কার্যত দেহ রাস্তায় রেখে দিয়ে তারা বিক্ষোভ অবরোধ চালান। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভের ফলে রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়।
পড়ুনঃ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক শিক্ষকের, সংসারে অশান্তি, সন্তানদের বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, এই ঘটনার পরেই তাদের তরফে ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ঘটনার পরেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিনই ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।