নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবকের মৃত্যুতে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। পরিবারের অভিযোগ, তাকে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে নেশামুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে ভাঙচুর চালাল পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত যুবকের নাম সৌরভ মণ্ডল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন : হাওড়ায় নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবকের মৃত্যুতে গ্রেফতার মালিক সহ ৬, মারধরেই মৃত্যু
জানা গিয়েছে, ওই যুবক দক্ষিণ গড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। গত দেড় বছর ধরে বারুইপুরের এই নেশামুক্তি কেন্দ্রে তার চিকিৎসা চলছে। তবে গতকাল সন্ধ্যায় তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়েই ক্ষোভে ফেটে ওঠে মৃতের পরিবার ও তার আত্মীয়রা। তারা ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যা থেকেই ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে সৌরভকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তার জেরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ও পরে মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাদের সন্তানকে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নেশামুক্তি কেন্দ্রের রোগীদের মারধর করার অভিযোগ সত্যি বলেই দাবি করছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিনই এই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ঝামেলা হয়। রোগীদের মারধর করা হয়। তাদের চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শোনা যায়। স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ, যুবকের মৃত্যুর আগে তাকে মারধর করা হয়েছিল। এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া মাত্রই প্রচুর লোকজন এসে এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। ঘটনায় নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।
এদিকে, খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক। তিনি জানান, ১০ বছর ধরে নেশামুক্তি কেন্দ্র চলছে। এর আগেও একাধিক রোগীকে মারধর করার অভিযোগ সামনে এসেছে। যারা এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন তারা এরকম অনেক অভিযোগ তুলেছেন। তাই পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাঙচুরের ঘটনার পরে তারা সেখানে পৌঁছয়। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। যুবককে মারধর করা হয়েছিল কি না বা কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।