গুরুতর অভিযোগ উঠল একটি কলেজের অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে। তাঁদের কাছে টিউশন না পড়ায় ফেল করিয়ে দেওয়া হল পড়ুয়াদের। সবমিলিয়ে ১১ জন পড়ুয়া পঞ্চম সেমিস্টারে অকৃতকার্য হয়েছেন। কাটোয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৩ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়ারা। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও অধ্যাপকরা এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
আরও পড়ুন: কলেজ ভরতির পোর্টালে OTP-র সমস্যা, গুগলের কাছে ছুটল রাজ্য, এখন ঠিক হয়েছে কি?
পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সরকার, সুলগ্না মুখোপাধ্যায় এবং চন্দ্রানী দাস টিউশন পড়ান। তবে তাদের কাছে টিউশন পড়তেন না অকৃতকার্য হওয়া পড়ুয়ারা। সেই কারণে অধ্যাপকরা নাকি তাদের ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। আর ফল বেরোনোর দেখা যায় ১৮ জনের মধ্যে ৭ জন বাদে সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।
পড়ুয়াদের দাবি, কলেজের হাতে একটি পেপারে ইন্টারনালে ৩৫ নম্বর থাকে। মোট পরীক্ষা ৭৫ নম্বরের। তবে বাইরের সেন্টারে থিওরির পরীক্ষায় থাকে ৪০ নম্বর। সেক্ষেত্রে কেউ ২৬ পেলেই পাশ হয়ে যায়। যদি কেউ থিওরিতে শূন্যও পায় তাহলেও কলেজের হাতে থাকা নম্বরে অনায়াসে পাশ হওয়া যায়। কিন্তু, পড়ুয়াদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে কলেজের হাতে থাকা নম্বর তাদের না দিয়ে ফেল করানো হয়েছে। এই ঘটনায় তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা। ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে জানিয়েছেন।
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৌশিক সরকার। তিনি দাবি করেছেন, তিনি বাড়িতে টিউশন পড়ান না। হতে পারে তারা যেখানে পড়ে ফেল করায় সেই গৃহশিক্ষক তাদের এভাবে মিথ্যা বলে কলেজের ওপর চাপ সৃষ্টি করার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে কলেজ চাপে পড়ে তাদের পাশ করিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী কলেজ চলাকালীন সময়ে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা টিউশন পড়াতে পারেন না। যদি এমন ঘটে তাহলে অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে তাছাড়া যে ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ তুলেছে আগেই তারা জানালে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এই সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কলেজের কমিটি রয়েছে। কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ সেই কমিটির কাছে পাঠানো হবে।