কোচবিহারে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার কোচবিহারের নাটাবাড়িতে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর ওপর অপর একটি গোষ্ঠীর হামলার ঘটনা ঘটল। চলল গুলিও। এই ঘটনায় আহত হন তৃণমূলেরই এক অঞ্চল সভাপতি। হাসপাতালের বেডে শুয়েই ওই তৃণমূল নেতা অভিযোগ করলেন, তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীরাই তাঁর ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। অঞ্চল সভাপতির ওপর হামলায় ধিক্কার মিছিল বের হয়।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নাটাবাড়ির বলরামপুর ২ অঞ্চল সভাপতি উত্তম বর্মনের ওপর হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। উত্তমবাবুকে শুধু মারধর করাই নয়, গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অঞ্চল সভাপতি। তাঁকে প্রথমে তুফানগঞ্চ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় এদিন একটি ধিক্কার মিছিল বের করে তৃণমূলেরই একাংশের কর্মী সমর্থকরা। এই ঘটনার পর হাসপাতালে আহত উত্তমবাবুকে দেখতে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পার্থ প্রতীম রায়। অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে দেখা করার পর তিনি জানান, গোটা বিষয়টি তিনি জেলা নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরবেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আহত অঞ্চল সভাপতি জানান, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামী হিসাবে পরিচিত কয়েকজন গতকাল রাত ১২টা নাগাদ তাঁর ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তাঁর গাড়িতে হামলা করে। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর মাথায়, কাঁধে, পায়ে আঘাত করা হয়। ওই হামলা প্রসঙ্গে অবশ্য তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূল নেতা পার্থ প্রতীম রায় জানান, এই ঘটনায় যারাই জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করে পুলিশকে শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।