বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পরিষ্কারের নামে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ বরাহনগরে, তদন্তের নির্দেশ পুরসভায়়

পরিষ্কারের নামে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ বরাহনগরে, তদন্তের নির্দেশ পুরসভায়়

পরিষ্কারের নামে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ বরাহনগরে, তদন্তের নির্দেশ পুরসভায়়

পুরসভার তরফে এগজিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জলাশয়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

‌ফের জলাশয় ভরাটের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বরাহনগরের পুর প্রশাসক অপর্ণা মল্লিক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রশাসন কিছুতেই জলাশয় ভরাট সমর্থন করবে না।

জানা গিয়েছে, বরাহনগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বনহুগলি হাইস্কুলের ঠিক পিছনে জঙ্গল ঘেরা একটি জলাশয় ছিল। কিছুদিন আগে জলাশয় পরিষ্কার করার নাম করে কয়েকজন প্রোমোটার জলাশয় বোজানোর কাজে নেমে পড়ে। খবর পেয়ে এলাকার কো–অর্ডিনেটর সরমা পাল এই জলাশয় বোজানোর কাজে বাধা দেয়। কিন্তু তাঁর কথায় কর্ণপাত করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে বরাহনগর পুর প্রশাসন। পুর প্রশাসক অপর্ণা মল্লিক গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে পুরসভার তরফে এগজিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জলাশয়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

এই প্রসঙ্গে এলাকার কো–অর্ডিনেটর সরমা পাল জানান, ‘‌দীর্ঘদিন ধরেই ওই জমিটা পড়ে থাকতে দেখেছি। খাস জমি হিসেবেই জানি। সেখানে একটি পুকুরও রয়েছে। মশার যাতে প্রাদুর্ভাব না হয়, সেজন্য অনেক সময় পুকুর পরিষ্কার করিয়ে দেওয়া হয়। তবে এভাবে জলাজমি ভরাট মেনে নেব না।’‌ পুর প্রশাসক অপর্ণা মল্লিক জানিয়েছেন, ‘‌পুরনো জলাশয়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জলাশয় ভরাটের মতো অনৈতিক কাজ পুরসভা কোনওভাবেই মেনে নেবে না। জমির মালিককে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে।’‌ যদিও এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যতই জলাশয় ভরাট না করার কথা বলুন না কেন এলাকায় তাঁর ভাইয়েরা সেকথা শুনছেন না। ভোটে জেতার পর তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে যে কোনও উপায়ে উপার্জনের পথ বের করা। সেটা পুকুর ভরাট করে হোক বা যেভাবেই হোক না কেন।

বন্ধ করুন