পুজোর সময়ে সিনিয়র চিকিৎসকরা ছুটিতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগের মধ্যেই পুজোর কটা দিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হল শতাধিক রোগীর। চিকিৎসার অভাবে যে এত বেশি সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তা মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর এই পরিসংখ্যান স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তাঁরা। যদিও এই নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থেকেই যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর সময়ে চতুর্থী থেকে দশমী পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের। দুর্ঘটনায় জখম হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। তবে এই পরিসংখ্যান অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পুজোর সময় বাদে অন্য সময় প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৩০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন হাসপাতালে। ভর্তি হওয়া মোট রোগীর ১.৫ শতাংশের মৃত্যু হয়ে থাকে। সেই দিন থেকে দেখতে গেলে পুজোর এই কটা দিন যত সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, চিকিৎসায় গাফিলতি বা চিকিৎসক নেই, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তবে রোগীর পরিবারের অনেকেরই অভিযোগ, পুজোর সময়ে হাসপাতালে পরিষেবা পাওয়া যায় না। অনেক রোগীকে পরে ভর্তি নেওয়ার কথা বলা হয়। ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের সময়মতো দেখাশোনা করা হয় না। হাসপাতালের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে, পুজোর সময় সিনিয়র চিকিৎসকরা কেউ হাসপাতালে থাকেন না। জুনিয়র ডাক্তার ও ইনটার্নদের দিয়ে রোগী দেখানো হয়। যদিও এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মতে, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি।