বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস মানেই ধর্ষণ নয়। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে একথা জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেদিনই বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। দেগঙ্গা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রেমিকার পরিবারের দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেছেন ওই যুবক। তার জেরে তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তরুণ ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করিয়েছেন।
আরও পড়ুন - কালো কাঁচ ঢাকা গাড়িতে আদালতে সঞ্জয়, রাস্তায় গ্রিন করিডর, মুখ খুলতেই নয়া ব্যবস্থা?
পড়তে থাকুন - সব ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে,বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন প্রতিবাদ সভায় বললেন শুভেন্দু
দেগঙ্গার বাসিন্দা যুবকের সঙ্গে হাবরা থানা এলাকার কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক তরুণীর বছরখানেক আগে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর একাধিকবার সহবাসে লিপ্ত হন যুবক। এর জেরে তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। যদিও সেকথা তিনি তাঁর বাড়িতে জানাননি। এর পর প্রেমিকের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত ঘটনার তিনি। তখনও কিছুই জানত না তার পরিবার। সম্প্রতি তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এর পর তরুণীর পরিবারের সদস্যরা যুবকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন যুবক। এর পর যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ আনে তরুণীর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণকে গ্রেফতার করে বারাসত থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন - আধারে বিশ্বাস নেই মমতার,সেই আধারে ভরসা করেই ট্যাব প্রতারণা রোখার চেষ্টা নবান্নের
বলে রাখি, মঙ্গলবার এক শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কোনও একজন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ সজ্ঞানে সহমতির ভিত্তিতে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার পর তাঁকে ধর্ষণে অভিযুক্ত করা যায় না। এক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ আনতে গেলে অভিযোগকারিনীকে অকাট্য প্রমাণ পেশ করতে হবে। গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ছাড়া কোনও মহিলা কখনও দাবি করতে পারেন না যে কোনও পুরুষ তাঁর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন।’