সরকারি জমি জবরদখল, পুকুর ভরাট নিয়ে সম্প্রতি নবান্নের বৈঠক থেকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে রাজ্য জুড়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ এবং পুরসভা। এরইমধ্যে আসানসোলে পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে আরএসএসের তিনতলার কার্যালয়। এমনই অভিযোগ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই তিনি পুলিশকে ওই কার্যালয়ের জমির সমস্ত নথি খতিয়ে দেখতে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই আরএসএস দফতরে গেল পুলিশ, পুরসভা এবং রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের দল।
আরও পড়ুন: বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙতে নামল বুলডোজার, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে ধুন্ধুমার তারাতলা
জানা যাচ্ছে, আরএসএস কার্যালয়টি অবস্থিত আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ ধাদকার জেসি বোস লেনে। বৃহস্পতিবার সেখানে ওই দলটি পৌঁছয়। ঘটনায় সেখানে প্রচুর আরএসএস কর্মী জড়ো হন। তাতে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়। কারণ রাজ্যজুড়ে যেভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে তাতে সরব বিরোধীরা। এই অবস্থায় পার্টি অফিস ভাঙাতে পারে বলে কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও শেষমেশ সেরকম করেনি পুলিশ। শুধুমাত্র জমির কাগজপত্র দেখতে চায় তারা। পুলিশের তাদের তরফে আরএসএসকে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমির তথ্য প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে হবে।
এ বিষয়ে আরএসএসের তরফে জানানো হয়েছে, কেউ অভিযোগ করেছিল। সেই কারণে পুলিশ এসে জমির নথিপত্র চেয়েছে। তবে নথিপত্র অন্যত্র রয়েছে। তাই সেগুলি জোগাড় করার জন্য ১৫ দিনের সময় চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক তাঁর কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে আসানসোল পুকুর ভরাট করে আরএসএসের তিন তলা পার্টি অফিস করা হয়েছে। এমনকী পুলিশ এবিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যদি তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙা হয় তাহলে আরএসএস বেআইনি নির্মাণ করলে তা ভাঙা হবে না কেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনকে সমস্ত কিছু নথি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং সবকিছু ভালোভাবে দেখার পরে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। সেই নির্দেশ পেয়েই এ দিন পুলিশের দল সেখানে পৌঁছয়। এই দলে ছিলেন আসানসোল পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার সুব্রত দেবনাথ। তিনি জানান, নথিপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে তারা নথি দেবেন।