Uttar Dinajpur: রামগঞ্জে সরকারি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রামগঞ্জ গভর্নমেন্ট প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের বিল্ডিং ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া, ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সরকারি জমি দখল হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।

রামগঞ্জ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বিল্ডিং। নিজস্ব ছবি।

এসএসসিতে দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল পড়েছে গোটা রাজ্যে। তারই মধ্যে এবার একটি সরকারি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে দূর্নীতির অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য সরকারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ইনস্টিটিউটের টিচার ইনচার্জের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের রামগঞ্জ গভর্নমেন্ট প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রামগঞ্জ গভর্নমেন্ট প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের বিল্ডিং ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া, ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সরকারি জমি দখল হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। পাশাপাশি রামগঞ্জ গভর্নমেন্ট প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে নজরদারির অভাবে বর্তমানে এই স্কুলের মাঠ গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, অবিলম্বে সরকারের বরাদ্দ করা অর্থ ইনস্টিটিউটকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার কাজে ব্যবহার করতে হবে। দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে আরটিআই করার পর। স্থানীয় বাসিন্দা চৈতু মহম্মদ আরটিআই করে জানতে পারেন ওই ইনস্টিউট উন্নয়নের জন্য সরকার টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু, সেই টাকা খরচ করা হয়নি। এরপরে স্কুলের টিচার ইনচার্জের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, যে টাকা পাওয়া গিয়েছে সেই টাকায় স্কুলের উন্নয়নের কাজ করতে হবে, না হলে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন।

এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের টিচার ইনচার্জ। তিনি জানান, উন্নয়নের জন্য কোনও টাকা আসেনি তাই স্কুলের বিল্ডিং মেরামত করার কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল। সবমিলিয়ে এই অভিযোগের ভিত্তিতে রীতিমতো ফাঁপরে পড়েছেন রামগঞ্জ গভর্নমেন্ট প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ।