লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলি পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রযুক্তিতে কারচুপি করে গ্রামের ১৩৪ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকিয়েছেন স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ওদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢোকেনি বলে প্রশাসনিক দফতরে ঘুরে চটির শুকতলা ক্ষয়ে যাচ্ছে বঞ্চিত গ্রামবাসীদের।
অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫৮ নম্বর বুথ এলাকার। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করলেও এখনো পাননি কোনও টাকা। নাম নথিভুক্তিকরণের পর আসেনি কোনও এসএমএসও। বিডিও অফিসে গিতে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের নামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ইরিনা ইয়াসমিন নামে গ্রামেরই এক বধূর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। যিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান হাসানুরজ্জামানের স্ত্রী। ১ জন – ২ জন নয়, ১৩৮ জন মহিলার টাকা ঢুকেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে।
অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, দলেরই একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন নিজে থেকে এই গরমিলের কথা জানালেন না হাসানুরজ্জামান বা ইরিনা?
এই ঘটনায় বাদুড়িয়ার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলারা। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আমফানের দুর্নীতির পর একই রকম অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ক্ষতিপূরণের টাকা। পরে চাপের মুখে সেই টাকা ফেরত দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখনো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করেনি সরকার। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, দুর্নীতির প্রতি রাজ্য সরকারের নরম মনোভাব থেকেই বারবার ঘটছে একই ঘটনা।