এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এরই মধ্যে এবার গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটএ) স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, জিটিএ’র প্রশাসনিক বোর্ডে থাকাকালীন অনিত থাপা এবং বিনয় তামাং বেআইনিভাবে ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। জিটিএ’র অধীনে থাকা প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করা হয়েছিল অভিযোগ। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। তাদের দাবি, এ নিয়ে তদন্ত হলে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠন গোর্খা আনএপ্লয়েড ট্রেন্ড টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এই মামলা করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, পরিবারের সদস্য এবং দলের বহু কর্মী সমর্থককে বেআইনিভাবে শিক্ষকের চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন বিনয় তামাং এবং অনিত থাপা। সোমবার সেই সংক্রান্ত নথি সামনে আনে এই সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি সুধন তামাং বলেন, ২০১৯ সালে জিটিএতে যে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল সেই সময় প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন অনীত থাপা। তিনি টাকার বিনিময়ে নিজেদের লোককে চাকরি দিয়েছিলেন। মাথাপিছু ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
প্রথমে এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরে সেই মামলাটি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, প্রাইমারি স্কুলে ১২১ জন, আপার প্রাইমারি স্কুলে ৫৯ জন এবং উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩১৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।
তাদের আরও অভিযোগ, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সম্পাদক কেশবরাজ পোখরেলের পরিবারের ১৭ জন সদস্য এবং ঘনিষ্ঠদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় নিয়োগের জন্য কোনও পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এই দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিনয় তামাং এবং অনীত থাপার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।