শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র বারুইপুর পশ্চিমে। এদিন শুভেন্দুবাবুর কর্মসূচি স্থল থেকে কয়েক শ’ মিটার দূরে তৃণমূলকে সভা করার অনুমতি দেয় পুলিশ। আর সেই সভা থেকে বিজেপি কর্মী ও বিধায়কদের কালো পতাকা দেখানো ও প্ররোচনামূলক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুভেন্দুবাবু সভাস্থলে পৌঁছে রাজ্যে ফের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তোলেন। সঙ্গে আগামী ২৭ মার্চ বারুইপুরের পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - বোনাস বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের! কত টাকা দেবে বাংলা? কারা কারা পাবেন? রইল সবটা
পড়তে থাকুন - ‘২০০৯ সালে কেন তাঁর সাথে আর কাউকে বাঙালি কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী হতে দেননি মমতা?’
আরও পড়ুন - ‘দলের থেকে জাত আগে’ মন্তব্যের জন্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে ক্ষমা চাইলেন হুমায়ুন
বিধানসভায় তাঁকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগে বুধবার বারুইপুরের বিজেপির মিছিল ও সভার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। সভায় বিজেপির সমস্ত বিধায়ক হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো আয়োজনও করে বিজেপি। বুধবার সকালে জানা যায় বিজেপির সভা স্থল থেকে মেরে কেটে ১০০ মিটার দূরে তৃণমূলকে সভা করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। বেলা বাড়তে রাসমেলা মাঠে আসতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। ওদিকে রাস্তার পাশে কালো পতাকা, দলীয় পতাকা ও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। গাড়ি করে রাসমেলার মাঠের দিকে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীদের ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায় তৃণমূলকর্মীদের। তবে রাস্তার ওই অংশ ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। ফলে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায়নি দুপক্ষ।
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ শুভেন্দুবাবু সভাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ শুভেন্দুবাবুর গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন তৃণমূল সমর্থকরা। একাধিক প্ররোচনামূলক স্লোগান দিতে দেখা যায় তাঁদের। গাড়ি থেকে নেমে শুভেন্দুবাবু বলেন, আজ যে ভাবে আমার গাড়িতে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে তাতে গাড়ি না থাকলে আমার মাথা ফেটে যেত। কী ভাবে বিজেপির সভার ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলকে সভা করার অনুমতি দিল পুলিশ? আমি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানাচ্ছি। বাংলার গণতন্ত্র বাঁচাতে গেলে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ মার্চ বারুইপুরের এসপি অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি। আমি সেখানে থাকব। দেখব কোন বাপ বাঁচায় ওকে।