বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল রোগীকে। ওষুধ দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হল সেই রোগীর। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হুগলি পাণ্ডুয়ার গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতাল লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে উত্তেজিত জনতা। হাসপাতাল চত্বরে ভাঙচুর চালাযনোর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় এক চিকিৎসককে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ঘটনাস্থলে জখম হন এক পুলিশ কর্মীও। দেহ ঘিরে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। বিক্ষোভের জেরে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জিটি রোড।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। সকালেই পাণ্ডুয়ার কোটালপুকুরের বাসিন্দা শেখ ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে বুকে ব্যথার সমস্যা নিয়ে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। সেই সময় হাসপাতলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক রোগীকে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর একটি ওষুধ দেন। এর মিনিট পাঁচেক পরেই মৃত্যু হয় অসুস্থ যুবকের। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ করেন, ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের আত্মীয়ের। এই অভিযোগে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুরও চালায়। মারধর করা হয় ওই চিকিৎসককে। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করে রোগীর পরিবার। এই ঘটনার জেরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় হাসপাতালে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পান্ডুয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সামনেই ভাঙচুর ও অবরোধ চালিয়ে যায় উত্তেজিত জনতা। সেই সময় জখম হন এক পুলিশ কর্মীও। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত চিকিৎসকের ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে। রোগীর মৃত্যু প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শেখ ইসলামকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখনই তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। প্রাথমিকভাবে রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে ওই চিকিৎসক তাকে একটি ওষুধ দেন। এরপরই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হত রোগীর। কিন্তু তার আগেই রোগী মারা যান। এই ঘটনায় হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কোনও গাফিলতি ছিল না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।