গভীর রাতে তৃণমূলের পুরপ্রধানের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় খড়গপুর শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, যে শহরের পুরপ্রধানের নিরাপত্তা নেই সেখানে সাধারণ মানুষ কী করে সুরক্ষিত থাকবেন? এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন খড়গপুরের পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল থাকতে পারে বলে নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - '৪ দিনে কলকাতা দখলের' জবাব- 'বাংলাদেশ সেনার জন্য সিভিক ভলান্টিয়াররাই যথেষ্ট'
পড়তে থাকুন - তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম? তদন্ত কমিটির ভূমিকায় ধোঁয়াশা
খড়গপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যাণীদেবী। ২ বছর আগে প্রদীপ সরকারকে সরিয়ে পুরপ্রধান হন তিনি। কল্যাণীদেবী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত তখন প্রায় ১০টা বাজে। শীতে রাতে খেয়ে দেয়ে ঘুমাতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন মহম্মদ ঈশান নামে এক যুবক তাঁর বাড়িতে এসে জাতি শংসাপত্র প্রয়োজন বলে জানান। কল্যাণীদেবী তাঁকে সকালে আসতে বলেন। এর পর যুবক তারস্বরে গালিগালাজ শুরু করেন বলে অভিযোগ। তখন প্রতিবেশীরা বেরিয়ে যুবককে ধরে ফেলেন। এর পর যুবক প্রতিবেশীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এমনকী কল্যাণীদেবী ঘর থেকে বেরিয়ে এলে তাঁকে ধাক্কা দেয় যুবক।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ফোন করেন পুরপ্রধান। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। তখন যুবক কিছুটা শান্ত হয়। এর পর কল্যাণীদেবীর কাছে ক্ষমা চায় সে। রাতে থানায় গিয়ে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কল্যাণীদেবী। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।
আরও পড়ুন - শপিং মলের ভিতরে কালো কাচে ঘেরা দোকান, তার মধ্যেই চলছিল সেই সব কাণ্ড, ধরল পুলিশ
কন্যাণীদেবী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক পাশের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ও আমাদের দলেরই কর্মী। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অপসারিত পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। তাঁর পার্টি অফিসে মাঝেমাঝেই দেখা যায় যুবককে। জেরার মুখে ধৃত স্বীকার করেছে কেউ তাকে পাঠিয়েছে।