মালদা জেলার মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব হল বিজেপি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এই দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তবাবুর দাবি, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরীর গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন।
আরও পড়ুন - বিজেপির ভোটারদের পেটাতে শান্তির ছেলেদের পোলিং এজেন্ট করে তৃণমূল: শুভেন্দু
আরও পড়ুন - ফের বেনিয়ম! রাজ্যে আরও একটি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট
আরও পড়ুন - সুপারিশ তালিকায় একাধিক প্রভাবশালীর নাম, সিবিআইয়ের ডাক পড়তে পারে যে কোনও দিন
সুকান্তবাবুর পোস্ট করা ভিডিয়োয় কিছু যুবককে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। তার পরই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে দোকানের ভাঙা শেড। ভিডিয়োটি পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদহের মোথাবাড়ি অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙ্গে লুঠ করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রা স্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই!
সংখ্যালঘু মুসলিমদের তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরীর গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন।
বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ।’
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘তোষণবাজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছেন । মালদহ জেলার মোথাবাড়ি অঞ্চলে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুঠ করা হয়েছে। মূল রাস্তা দখল করে জেহাদিরা যথেচ্ছাচারে কি ভাবে গাড়ি ভাঙচুর করছে দেখুন। জেহাদিদের সামনে পড়ে 'নিধিরাম সর্দারের' ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মমতা পুলিশ কে দেখুন, হাত জোড় করে যেনো করুণা প্রার্থনা করছে !
সংখ্যালঘু তোষণ করতে করতে গ্রেটার বাংলাদেশের ব্লু প্রিন্ট ক্রমশ বাস্তবায়ন করার পথে এগিয়ে চলেছে তোলামূল সরকার।'
শুভেন্দুবাবু আরও লিখেছেন, 'তবে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম, এর শেষ দেখে ছাড়বো। আইনি পথে যেমন হাওড়া, শ্রীরামপুর, ডালখোলা, খিদিরপুর, রিষড়া, মোমিনপুরের জেহাদিদের বাগে এনেছি ঠিক একই ভাবে এদের কেও শিক্ষা দেবো।’