এবার স্কুলের মাঠে হাট বসিয়ে সেই টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। শনিবার এই অভিযোগ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন অভিভাবকরা। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের শুশুনদিঘি হৃষিকেশ পাবলিক হাই স্কুল। হাট বসানোয় তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনায় পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রবীর পাঁজার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্কুলের অভিভাবকদের একাংশের দাবি, গত জুলাই মাস থেকে স্কুলের মাসে সাপ্তাহিক হাট বসানো হয়েছে। সেই হাটের দোকানিদের কাছ থেকে ৮০ – ১২০ টাকা করে প্রতিদিন আদায় করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মোট ১৩ সপ্তাহ হাটে থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু সেই টাকা স্কুলের তহবিলে জমা পড়েনি।
এই অভিযোগ তুলে শনিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষ শেখ হিম্মতের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধান শিক্ষক তাঁদের জানান, হাট বসানোর কোনও লিখিত অনুমতি তিনি দেননি। স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি প্রবীর পাঁজা মৌখিক অনুমতি দিয়ে হাট বসিয়েছেন। হাটের জন্য তাঁকে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি জেলা শিক্ষা দফতর জানে বলেও দাবি করেন তিনি।
ওদিকে অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সভাপতি মিলে হাটের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। স্কুলের প্রাপ্য স্কুলের তহবিলে জমা দেননি। এব্যাপারে প্রদীপবাবুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।