বিজেপি–র ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতেই শ্লীলতাহানির শিকার দলের মহিলা কর্মী–সমর্থকরা। দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। স্থানীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মায়া বাগের অভিযোগ, মহিলাদের মারধর করার পাশাপাশি শ্লীলতাহানি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের রায়বাঘিনী মোড় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ক্যানিং থানার পুলিশ।
এদিন বিকেলে রায়বাঘিনী মোড়ে শুরু হয় বিজেপি–র ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির প্রতিবাদসভা। ক্যানিং ১ মণ্ডল বিজেপি–র ডাকে আয়োজিত এই পথসভায় প্রথমে হাজির হন একদল মহিলা বিজেপি কর্মী–সমর্থক। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী মায়া বাগ। তাঁরা সেখানে হাজির হয় সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে উঠে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির প্রতিবাদসভা শুরু করে দেন।
সব ঠিকঠাকই চলছিল। সমস্যা বাঁধে ওই প্রতিবাদসভায় ক্যানিং ১ মণ্ডলের সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায় ও বাপি রায়ের নেতৃত্বে একদল বিজেপি কর্মী–সমর্থক আসার পর। অভিযোগ, তাঁরা তখনই মঞ্চের দখল নিতে চায় এবং মায়া বাগের নেতৃত্বে থাকা মহিলা কর্মী–সমর্থকদের উঠে যেতে বলে। তা নিয়ে বাদানুবাদ হলে একপ্রকার জোরপূর্বক মঞ্চ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় ওই মহিলাদের।
শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। স্থানীয় বিজেপি নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায় ও বাপি রায়ের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এর পরই তাঁরা সভাস্থলে থাকা চেয়ার ছোড়াছুড়ি, ভাঙচুর করতে শুরু করে। দুই গোষ্ঠীর বিজেপি নেতা, কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতিও। আর এ সবের প্রতিবাদে বিজেপি নেত্রী মায়া বাগের নেতৃত্বে ওই মঞ্চ সংলগ্ন রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলা কর্মী–সমর্থকরা। শেষে বাতিল করতে হয় ক্যানিং ১ মণ্ডলের ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে ক্যানিং থানার পুলিশ।