হুগলিতে সরকারি পদস্থ কৃষিবিজ্ঞানীকে অফিসের মধ্য়েই মারধর করার অভিযোগ সহ আধিকারিকের বিরুদ্ধে উঠেছে। চুঁচুড়ায় সরকারি অফিসের মধ্য়েই তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে বলে খবর। তাঁর মাথাতেও আঘাত লেগেছে।
এদিকে কৃষিবিজ্ঞানীকে এভাবে অফিসের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য়ের কৃষি দফতরের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। আক্রান্ত কৃষিবিজ্ঞানী সীতেশ চ্যাটার্জি, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট এন্টেমোলজি, রাইস রিসার্চ স্টেশন, চুঁচুড়া।
ওই কৃষি বিজ্ঞানী সীতেশ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, মাথায় ব্যাথা রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ইতিমধ্য়েই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর। তবে এভাবে সরকারি অফিসের মধ্য়েই রাজ্য়ের অন্য়তম নামকরা কৃষিবিজ্ঞানীর প্রহৃত হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়েছে।
তিনি চূঁচুড়ার ধান্য গবেষণাগারে কর্মরত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বাংলার ধান গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য়ের কৃষক মহলেও অত্যন্ত পরিচিত নাম তিনি। সেই কৃষিবিজ্ঞানীর উপর অপর এক কৃষিবিজ্ঞানীর হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে আক্রান্ত কৃষিবিজ্ঞানী সীতেশ চট্টোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, অফিস থেকে ফেরার পথে আচমকাই স্বামীর এক সহকর্মী ফোন করে বলেন, স্যার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। এসে দেখলাম স্যালাইন চলছে। পরে জানতে পারি অপর এক সহকর্মী খুব জোরে মেরেছেন। তার জেরে অজ্ঞান হয়ে যান স্বামী। এটা ভীষণ নিন্দাজনক ঘটনা। মতের অমিল হলে কথা বলে সেটা মেটানো দরকার। কিন্তু এভাবে মারধর করাটা ঠিক নয়। এতে তো প্রাণ সংশয়ও হতে পারে। নিরাপত্তাটা সবথেকে আগে দরকার।
তবে অভিযুক্ত অপর বিজ্ঞানীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সূত্রের খবর, ঘটনার পরেই রাজ্য় কৃষি দফতরের পদস্থ কর্তারাও এনিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন। অনেকেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অধ্যাপক এনিয়ে খোঁজখবর করছেন। সব মিলিয়ে এদিনের ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে সরকারি দফতরের অন্দরে।
এদিকে সূত্রের খবর, উভয়ই ধান্য গবেষণাগারের পদস্থ আধিকারিক। পদোন্নতি ও বদলি সংক্রান্ত কোনও বিষয়কে ঘিরে এই পরিস্থিতি তৈরি হল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই কৃষি বিজ্ঞানীর শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল। তবে এই ঘটনায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন তাঁর অন্যান্য সহকর্মীরা।