শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়রকে খুনের হুমকি। গোটা শিলিগুড়ি জুড়ে এনিয়ে জোর চর্চা। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন বিষয়ের মুখোমুখি তিনি হননি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে।
তবে এসবের মধ্য়েই এবিপি আনন্দে মুখ খুলেছেন অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ডেপুটি মেয়রের উপর যদি হামলা হয়ে থাকে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কিন্তু আমরা যখন বোর্ডে ছিলাম আমি যখন মেয়র ছিলাম তখন বর্তমানে যিনি ডেপুটি মেয়র রয়েছেন তার নেতৃত্বে সরাসরি আক্রমণ হয়েছিল। একবার নয়, একাধিকবার। তৃণমূলেও আমলেই এরা বলছে তাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় গিয়েছে এটা তারই প্রমাণ, বলেন অশোক ভট্টাচার্য।
আর তাঁরই একসময়ের সঙ্গী তথা বর্তমানে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এভাবেই ডেপুটি মেয়রকে চেনা সত্ত্বেও এভাবে ডেপুটি মেয়রকে হেনস্থা করাটা কাম্য নয়। আমি বলব পরবর্তী ক্ষেত্রে যেটা শুনেছি ডেপুটি মেয়র সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরে পুলিশ নড়ে বসে। তার মানে পোস্ট না করলে পুলিশ অ্যাকটিভ হত না, গ্রেফতার হত না। আমি অবাক হয়ে গেলাম মেয়র সাহেবে কাণ্ড দেখে। মেয়র সাহেবের উচিত ছিল প্রকাশ্যে পুলিশকে ভর্ৎসনা করা। ডেপুটি মেয়র ক্ষোভে বলুন বা যন্ত্রণায় বলুন একটা সত্যি কথা বলে দিয়েছেন, শিলিগুড়ি শহরে এভাবে হেনস্থা আগে হতে হয়নি।
মেয়র গৌতম দেব সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।
কী হয়েছিল ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে?
এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছিলেন। নিরাপত্তা রক্ষী না নিয়েই বেরিয়ে পড়েন তিনি। তখন তাঁর সঙ্গে শুধু চালক ছিলেন। এই অবস্থায় রঞ্জন সরকার যখন প্রধাননগর এলাকার একটি নার্সিংহোমে যাচ্ছিলেন তখন গাড়ি সেবক রোডে পৌঁছতেই হামলা হয় দুষ্কৃতীদের। সেবক মোড়ে তাঁর গাড়ি ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। গাড়ির বনেটে চড়, ঘুষি মারতে থাকে তারা এমনটাই অভিযোগ।
কী বললেন ডেপুটি মেয়র?
৪০ বছর ধরে রাজনীতি করি। কোনওদিন ক্ষমতা হয়নি যে সরাসরি আক্রমণ করবে। সিপিএম আগে অনেক আক্রমণ করেছে। কলেজ ইলেকশনে। কিন্তু আজকে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছি না। এদিকে ইতিমধ্য়েই পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর।