কোলাঘাটের পাইকপাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামীণ হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না বলে নোটিশ টাঙানো হয়েছে। টিকা নিতে এসে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। তবে ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, প্রকাশ্যে টিকা না দেওয়া হলেও ঘুরপথে টিকার বিনিময়ে মোটা টাকার লেনদেন হচ্ছে। টিকা দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকা বাসিন্দাদের থেকে নেওয়া হচ্ছে। আর এই টিকা দেওয়ার চক্রটি অত্যন্ত গোপনে কাজ করছে । গোটাটাই হচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে, ঘুরপথে। একজন ভ্যাকসিন নিলে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। দুজন ব্যক্তি একসঙ্গে ভ্যাকসিন নিলে ৮৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ এমনটাই। ভ্যাকসিন দেওয়ার বিনিময়ে কার্যত কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । কয়েকজন এভাবে ঘুরপথে ভ্যাকসিন নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ।
এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে এলাকায়। বিডিওর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিডিও। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিনের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন বাসিন্দারা। অথচ অর্থের বিনিময়ে ঘুরপথে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এভাবে ভ্যাকসিন নেওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। যারা এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা।এদিকে গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ শাসকদলের লোকজন এই আর্থিক লেনদেনের পেছনে রয়েছে। অন্য়দিকে শাসকদলের নেতৃত্ব তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।