দফায় দফায় উত্তেজনা আসানসোলের বরাকরে। পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর। গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা। বাদ থাকল না কিছুই। গোটা ঘটনায় কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সোমবার রাতে মহম্মদ আরমান আনসারি নামে এক যুবককে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এদিকে মঙ্গলবার থানায় এসে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে পরিজনরা জানতে পারেন তার মৃত্যু হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ হেফাজতের মধ্যেই তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
এরপরই দলে দলে বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। বরাকর ফাঁড়ি লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা। ফাঁড়ির সামনে থাকা সিসি ক্যামেরাতেও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ন্য়ায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। আরমানের আত্মীয়রা বলেন, '২২ বছরের এই যুবককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে এনেছিল। এরপর পুলিশ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশ হেফাজতে মারা গিয়েছে ওই যুবক। আমরা দোষী পুলিশ কর্মীদের শাস্তি চাই।' পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনীকে এলাকায় মোতায়েন করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর বলেন, ‘গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে।যারা তাকে নিয়ে এসেছিল তাদের মধ্যে দুজন অফিসার সাসপেন্ড করা হয়েছে।’