তোলাবাজির নানা ধরনের নমুনা আছে এই বাংলায়। বাজারে তোলাবাজি, প্রমোটারদের কাছ থেকে তোলাবাজি, ফোনে হুমকি দিয়ে তোলাবাজি। নেতার নাম করে তোলাবাজি। রীতিমতো চিঠি লিখে টাকা চাওয়ার অভিযোগও উঠেছে অতীতে। তবে এবার হুগলিতে আবার তোলাবাজির অন্য একটা ঘটনা সামনে এসেছে।
রিষড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের লেটার প্যাডে লেখা একটি চিঠিকে ঘিরে এবার জোর শোরগোল। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই চিঠি। সেখানে রিষড়ার একটি টেক্সটাইল কারখানার ভাইস প্রেসিডেন্টকে চিঠি লেখা হয়েছে। এদিকে সেই চিঠির নীচে রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খানের সই ও স্ট্যাম্প আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষ্যে ১০ হাজার টাকা কাপড় কেনার জন্য চেয়ে এই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই চিঠিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন তিনি।
তবে রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গোটা ঘটনার দায় দলেরই একাংশের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি দলের একাংশ এসব কাজ করছেন। তাঁর দাবি দলেরই লোক, কিন্তু বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব কাজ করছে।
জাহিদ হাসান খান জানিয়েছেন, আমি দলের কোনও প্যাড ব্যবহার করি না। কোনও ডোনেশন তুলি না। নিজের যা ক্ষমতা সেটা দিয়েই করি। ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে গোটা ঘটনায় দলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টিও প্রকাশ্য়ে আসছে। সূত্রের খবর, আরামবাগের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের স্বামী সাকির আলির সঙ্গে জাহিদ হাসান খানের কিছু বিরোধ রয়েছে। সাকির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। এদিকে এই বিরোধকে কেন্দ্র করে নানা সময়ে নানা চর্চা হয়।
এই চিঠির প্রসঙ্গে সাকির জানিয়েছেন, দলীয় তদন্তের বিষয় এটা। কে কোথায় কারখানায় প্যাড পাঠিয়েছে এটা আমি জানি না। এটা দলের তদন্তে বিষয়। দল যদি সঠিক তদন্ত করে দলের প্যাড কেন ব্যবহার করা হয়েছে সেটা নিশ্চয়ই ধরা পড়বে। আমার এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।
এদিকে গোটা ঘটনায় নানা কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ইংরেজিতে লেখা একটা চিঠি ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে যে সরাসরি কোনও হুমকি দেওয়া হয়েছে তেমনটা নয়। রীতিমতো অনুরোধ করেই ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর কাছে। বেশ বিনীতভাবেই এই টাকা চাওয়া হয়েছে। টাকাটা যে কাপড় কেনার জন্য নেওয়া হচ্ছে সেটাও বলা হয়েছে। তবে দলীয় প্যাড ব্যবহার করে এই টাকা চাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল চরমে।